Do not hesitage to give us a call. We are an expert team and we are happy to talk to you.
+8801331656792
contact@asiantravelagency.in
আপনাদের প্রিয় MV. Silver Cruise 2024/2025 সালের বুকিং নেওয়া শুরু করেছে। যারা ফ্যামিলি নিয়ে সুন্দরবন ঘুরতে যেতে চান, এখনই আপনাদের পছন্দমত রুম বুকিং করার সুবর্ণ সুযোগ।
বাংলাদেশের প্রথম প্যানারমা ভিউ রুম সহ ট্যুরিস্ট বান্ধব বিলাশবহুল এবং সুন্দরবনের সবথেকে আকর্ষণীয় জাহাজ MV. Silver Cruise এ ভ্রমন করে ঘুরে আসুন পৃথিবীর সব থেকে বড় ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবন থেকে । যে সুন্দরবন আমাদেরকে বার বার বড় বড় ঝড়ের সামনে তার বিশাল বুক পেতে দিয়ে আমাদেরকে বড় ক্ষতির হাত থেকে বাঁচিয়ে দেয়, সেই বিশাল সুন্দরবন এবং তার প্রান বৈচিত্র দেখতে আমদের সাথে চলুন।
খুলনা(জেলখানা/BIWTA ঘাটে) –> ঢাকা
7:00 AM
এখানে আপনি পাবেন এক সাথে চারটি সৌন্দর্য।
১) নৌ বিহার।
২) ওয়াইল্ড লাইফ।
৩) প্রকৃতি।
৪) সাগর।
বাংলাদেশের আর কোথাও নৌযানে করে তিনদিন ভ্রমনের সুযোগ নাই একমাত্র সুন্দরবন ছাড়া, আপনি এখানে নৌ বিহার, প্রকৃতি, ওয়াইল্ড লাইফ, সমুদ্র সব একসাথে পাচ্ছেন। এই সময় খুব কাছে থেকে বন্যপ্রানী দেখার এক অপূর্ব সুযোগ পাওয়া যায়। এমন কি এই সময় পৃথিবী বিখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগারও দেখা যাবার সম্ভবনা খুব বেশী।
এই সময় সমুদ্রকে পাবেন আপনার মনের মত করে।
আর হ্যাঁ সুন্দরবনে আপনাদের জন্য বিশেষ আকর্ষণ হিসাবে থাকছে বার-বি-কিউ নাইট।
আরও সাথে থাকছে ২ জন ফরেস্ট আর্ম গার্ড এবং অভিজ্ঞ গাইড।
খুলনা বা মোংলা থেকে ট্যুর শুরু করার পরে প্রথম যে স্পটটিতে আমরা ভ্রমন করি সেটি “হাড়বাড়ীয়া”। এটি একটি ইকো ট্যুরিজম স্পট। পশুর নদীর কোল ঘেষে এটির অবস্থান। এখানে আছে বন্যপ্রানীদের পানি পান করার জন্য মিষ্টি পানির পুকুর। পানযোগ্য পানির জন্য এখানেও ঘুরে বেড়ায় বাঘ, হরিন, শুকর ও বানর সহ সুন্দরবনের অনেক প্রানী। আছে বন ও বন্যপ্রানী পর্যবেক্ষেনের জন্য একটি কাঠের তৈরী ওয়াচ টাওয়ার (যদিও ২০১৬ সাল থেকে এটা ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে)। এখানে ট্যুরিষ্ট হাঁটার জন্য আছে প্রায় পৌনে ১.৮ কিলোমিটারের কাঠের তৈরী ট্রেইল। টুরিষ্টরা এই ট্রেইলের উপর দিয়ে হেঁটে সুন্দরবনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অবলোকন করেন। গহীন বন ও শরীর ছমছমে পরিবেশ হাড়বাড়ীয়াকে এনে দিয়ে দিয়েছে ভিন্ন এক পরিচিতি।
খুলনা থেকে বা মোংলা থেকে ১ দিনেই ঘুরে আসা যায় এই স্পটটিতে। ঘন জঙ্গল আর সুন্দর ক্যানেলের জন্য জায়গাটি সবার কাছেই ভালো লাগে।
পশুর নদীর কোল ঘেঁষে অবস্হিত হাড়বাড়ীয়া ফরেষ্ট স্টেশনটি আসলেই অনেক সৌন্দর্য নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
হাড়বাড়ীয়া ভ্রমনের শেষ করে পশুর নদী হয়ে ও শ্যালা নদী দিয়ে হরিনটানা, হরমল খাল, পাতাকাটা ও বেতমোড় গাং হয়ে হেমরা খাল বা সাগরের মোহনা দিয়ে চলে আসতে হবে সাগরের কোল ঘেষে অবস্থিত কটকা অভায়ারন্য….
কটকা অভায়ারন্য যাকে আমরা সুন্দরবনের সুন্দরী বলে ডাকি। হয়তো এটাও কম হয়ে যাবে। সুন্দরবন ভ্রমনের মেইন স্পটটিই কটকা অভায়ারন্য। সুন্দরবনের যতগুলো ট্যুর স্পট আছে সব থেকে সাজানো এবং সুন্দর।
কটকা ফরেষ্ট ষ্টেশনের দক্ষিণে বঙ্গোবসাগর। আর সাগর কোল ঘেষেই কটকা আভায়ারন্যটি। এটি শরনখোলা রেঞ্জ, বাগেরহাট এর ভিতরে পড়েছে।কটকা এমন একটি ট্যুরিষ্ট ডেস্টিনেশন যেখানে সারাদিন সময় কাটালেও মনে হয় শেষ হবে না।
প্রথমত আসি কটকা ফরেষ্ট অফিস পারের কথায়। সমুদ্রের কুল ঘেষে এই ফরেষ্ট অফিসটি। এখানে বন বিভাগের লোকজন থাকে বন সুরক্ষা করার জন্য। আছে পুরাতন ও নতুন মিলিয়ে দুটি সরকারী গেষ্ট হাউজ। আর ট্রাকিং করার অন্যতম সুন্দর জায়গা এটি। এখানে আছে তিনটি টাইগার টিলা যেখানে বাঘেরা শিকার ধরে এনে খায়। এই তিনটিলা ট্রাকিং করতে হবে গহীন গরান বনের ভিতর দিয়ে।
কটকা নদীর ওপারে আছে ট্রাকিং করার বড় জায়গা। ট্রলার থেকেই নেমে আগে আসতে হবে কটকা ওয়াচটাওয়ারের দিকে। ৪০ ফুট উচু ওয়াচ টাওয়ার দিয়ে টাইগার পয়েন্টের মাঠ ও বন পর্যবেক্ষণ করা যায় খুব ভালো ভাবেই। এখানে টাইগার পয়েন্টের মাঠ দিয়ে তিন কিলোমিটার হেটে যাওয়া যায় কটকার বিখ্যাত বাদামতলা বীচে। এই রুটটি আবার দুই ভাবে করা যায়। বনের ভিতর দিয়ে হেটেও যাওয়া যায়। তবে সাধারনত এডভেঞ্চার পাগল মানুষেরা বনের পথটি ব্যবহার করতে চায় সব সময়।।
প্রচুর হরিন, বানর, শুকোর, সজারু দেখা যায় এখানে। এবং বিখ্যাত রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার এর বিচরনও কটকাতে বেশি।
ছোট ছোট খালের সমাহার, একদিকে সমুদ্র ও প্রানীকুলের সমাহার ও ঘন বন কটকাকে এনে দিয়েছে অন্য এক পরিচিতি। যারা সুন্দরবন দেখতে চান তাদের অবশ্যই কটকা অভায়ারন্য ভ্রমন করা উচিৎ। কারন কটকা না দেখলে আপনার সুন্দরবন দেখাই হবেনা।
কটকার বাদামতলা/ জামতলা বীচ থেকে এসেই সরাসরি জাহাজ রওনা করবে কচিখালির উদ্দেশ্যে। ছিটা কটকার/ বড় কটকার সরু আঁকাবাঁকা খাল হয়ে সুপতি নদী দিয়ে চলে যাবে কচিখালীতে। কচিখালী সুন্দরবনের অন্যতম একটি অভায়রন্য। এটিও বাগেরহাটের শরনখোলা রেজ্ঞ এর আওতার ভিতরে পড়েছে। এখানে ফরেষ্ট ও কোষ্টগার্ড এর দুটিরই স্টেশন আছে। আছে খনন করা মিষ্টি পানির পুকুর। পরিকল্পিত বিভিন্ন ফলের গাছও রোপন করেছে বন বিভাগ। আছে নামাজ পড়ার জন্য ছোট্ট একটি মসজিদ। কচিখালী এক মায়াবী বন। ফরেষ্ট ক্যাম্প পার হলেই বনের আগে আছে বিশাল মাঠ যেখানে বছরের অধিকাংশ সময় থাকে পানিতে তলিয়ে। বড় বড় ছন বনে আসলেই অনেক রহস্য লুকিয়ে থাকে। বিশেষ করে বাঘ মামা বাদেও বড় দাঁত ওয়ালা বন্য শুকর ও বিশাল অজগর সাপ। এ ছাড়া বিষধর সাপ তো আছেই। শীতের মৌসুমে পর্যটক আনাগোনার কারনে বন বিভাগ বিশাল ছন বনের মাঠটি একে বারে পরিস্কার করে দেয়। কচিখালির মাঠে দাড়িয়েই দেখা যায় শত শত হরিন ও বানর।
এরপরে আমরা কচিখালীর সরু ক্যানেল ক্রুজিং করতে করতে চলে যায় নদীর ওপারে দাড়ানো ডিমের চরে। ডিমের চর একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ যেটা এখন পুরোটাই ঘন বনে ছেয়ে গিয়েছে। ডিমের চরেও ইদানিং (২০১৯ সাল থেকে) বড় সড় হরিন ও বাঘ মামার আনাগোনা বেশ বেড়েছে। বঙ্গপোসাগরের কোল ঘেষে আছে বিশাল একটি বালুর বীচ। এখানের পানি বেশ পরিস্কার হওয়ার কারনে অনেকেই সমূদ্র স্নান করে থাকে। এখানেই উপভোগ করতে পারবেন আপনার সুন্দর বিকেল ও সূর্য়ান্ত দেখা। সুন্দরবনের কচিখালী ও ডিমের চর ট্যুরিষ্টদের জন্য এক অনন্য ভ্রমন স্পটে পরিচিতি পেয়েছে।